কুরআন মাজীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
এক নজরে পবিত্র কুরআনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ১। রমযান মাসের কদরের রজনীতে হেরা পর্বতের গুহায় সর্বপ্রথম ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে নাজিল হয়। ২। নাজিলের মোট সময়কাল ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিন। ৩। নাজিলকৃত প্রথম পূর্ণ সূরা হলো সূরা ফাতেহা। ৪। সর্ব প্রথম নাজিলকৃত আয়াত সূরা আলাকের ৫ আয়াত। ৫। কুরআনের সর্বপ্রথম নাজিলকৃত শব্দ ইক্বরা। ৬। সর্বশেষ নাজিলকৃত সূরা হলো সূরা আন-নসর। ৭। সর্বশেষ নাজিলকৃত আয়াত হলো সূরা বাকারার ২৮১ নম্বর আয়াত। ৮। পবিত্র কুরআন নাজিল শেষ হয় ১১ হিজরীর সফর মাসে। ৯। সবচেয়ে বড় সূরা হলো সূরা বাকারা যার আয়াত সংখ্যা ২৮৬। ১০। সবচেয়ে ছোট সূরা হলো সূরা কাওসার যার আয়াত সংখ্যা ৩টি। ১১। কুরআন মাজীদের মোট সূরা ১১৪টি। মাক্কি সূরা ৯২ টি ও মাদানি সূরা ২২টি। ১২। মোট রুকু ৫৪০ টি। ১৩। প্রসিদ্ধ মতে কুরআন মাজীদের মোট আয়াত সংখ্যা ৬ হাজার ৬৬৬টি। কিন্তু নির্ভরযোগ্য অভিমত হলো ৬ হাজার ২৩৬টি। ১৪। পবিত্র কুরআনে আদেশসূচক আয়াত ১ হাজার, নিশেধ সূচক আয়াত ১ হাজার, ভীতি প্রদর্শন সূচক আয়াত ১ হাজার, ঘটনামূলক আয়াত ১ হাজার, দৃষ্টান্ত মূলক আয়াত ১ হাজার, হালাল সংক্রান্ত আয়াত ২৫০, হারাম সংক্রান্ত আয়াত ২৫০, দোয়া, জিকির ও তাসবীহ সংক্রান্ত আয়াত ১০০টি। ১৫। পবিত্র কুরআনের মোট শব্দ ৮৬ হাজার ৪৩০টি। ১৬। মোট অক্ষর ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৩টি। মতান্তরে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭০টি, মতান্তরে ৩ লাখ ৫১ হাজার ২৫২টি। ১৭। মোট মনজিল ৭টি। ১৮। মোট পারা ৩০টি। ১৯। পবিত্র কুরআনের মোট হরকত = জের : ৩৯ হাজার ৫৮২, জবর : ৫২ হাজার ২৩৪, পেশ: ৮ হাজর ৮০৪, জজম : ১ হাজার ৭৭১, নুকতা : ১ লাখ ৫ হাজার ৬৮১, তাশদীদ : ১ হাজার ৪৫৩, ওয়াকফ: ১০ হাজার ৫৬৪, মাদ : ১ হাজার ১৭১ ও আলিফ মামদুদাহ ২৪০টি। ২০। কুরআন মাজীদের হরফের সংখ্যা = আলিফ ৪৮ হাজার ৪৭৬ বা ১১ হাজার ৪৪২, তা ১০ হাজার ১৯৯, ছা ১ হাজার ২৭৬, জিম ৩ হাজার ২৭৩, হা ৩ হাজার ৯৭৩, খা ২ হাজার ৪৪৬, দাল ৫ হাজার ৬৪২, জাল ৪ হাজার ৬৭৭, রা ১১ হাজার ৭৯৩, জা ১ হাজার ৫৯৩, সীন ১ হাজার ৮৯১, শীন ২ হাজার ২৫৩, ছোয়াদ ২ হাজার ১৩, দোয়াদ ১ হাজার ৬০৭, তোয়া ১ হাজার ২৭৭, জোয়া ৮৪২, আইন ৯ হাজার ২২০, গাইন ২ হাজার ১০৮, ফা ৮ হাজার ৪৯৯, ক্বাফ ৬ হাজার ৮১৩, কাফ ৯ হাজার ৫০২, লাম ৩৩ হাজার ৪৩২, মীম ২৬ হাজার ৫৬০, নূন ৪৫ হাজার ১৯০, ওয়াও ২৫ হাজার ৫৩৬, হা ১৯ হাজার ৭০, লাম আলিফ ৪ হাজার ৭২০, ইয়া ৪৫ হাজার ৯১৯টি। ২১। কুরআনের নুকতা ও হরকত সর্বপ্রথম প্রবর্তন করেন আবুল আসওয়াদ দুয়াইলি, মতান্তরে হাজ্জাজ বিন ইউসূফ। ২২। হানাফী মাজহাব মতে কুরআনে সেজদায়ে তেলাওয়াত ১৪টি এবং সাকতার সংখ্যা ৪টি। ২৩। নবী ও রাসূলের নাম এসেছে ২৫ জনের। ২৪। ফেরেশতাদের নাম এসেছে ৪ জনের। ২৫। শয়তান শব্দটি এসেছে ৮৫ বার, ইবলিশ শব্দটি এসেছে ১১ বার। জিনজাতির প্রসংগ এসেছে ৩২ বার। ২৬। পবিত্র কুরআনে নবীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাম এসেছে হযরত মুসা (আ:) এর নাম। তাঁর নাম এসেছে ১৩৫ বার। ২৭। ৬ জন কাফিরের নাম এসেছে পবিত্র কুরআনে। ২৮। সূরা তাওবায় বিসমিল্লাহ নেই। ২৯। কুরআনে বণর্িত একজন সাহাবী হযরত জায়েদ রা.। ৩০। কুরআনে বণর্িত একজন নারী হযরত মারইয়াম বিনতে ইমরান। ৩১। প্রথম ওহী লেখক জাবেদ বিন সাবেত। ৩২। পবিত্র কুরআনের তাফসীর কারক হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.। ৩৩। কুরআনের পূর্নাঙ্গ রুপ দেন ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে হযরত আবু বকর রা.। ৩৪। পবিত্র কুরআনের প্রথম সংকলক হযরত ওসমান রা.। ৩৫। কুরআনের প্রধান তাফসীরবিদ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.।
0 মন্তব্যসমূহ